এবিএনএ : ০১ ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস দিবস। আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে, এইডস দিবসের প্রতীক হিসেবে ‘লালফিতা’ ব্যবহার করা হয়। কিন্তু কখনো কি ভেবেছেন কেন এই লালফিতা? হয়তো ভেবেছেন বা ভাবেননি। কেউ হয়তো জেনে গেছেনও এর কারণ। তবুও জেনে নিন এইডসের প্রতীক লালফিতা হওয়ার কারণ।
আবহমানকাল ধরে আমরা লাল রংকে ‘নিষিদ্ধ’ হিসেবে জানি। আমরা জানি, লাল দেখলে থেমে যেতে হয়। ট্রাফিক সিগন্যাল থেকে শুরু করে খেলার মাঠের লাল কার্ড, ফায়ার সার্ভিস, অপারেশন থিয়েটারে লাল আলো। তাই লাল মানেই নিষেধাজ্ঞা।
এছাড়া লাল রং মানে ‘চরম’র প্রতীক। আবার একই সঙ্গে লাল মানে পাপ, অপরাধ, আসক্তি, যৌনতা, সহিংসতা, রাগ, ভালোবাসা এবং দুঃসাহসিকতারও প্রতীক।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, রক্ত এবং আগুন- এই দুইয়ের লাল বর্ণকে লক্ষ্য করত প্রাচীন যুগের মানুষ। তারা দেখেছিল, রক্তপাত মানুষকে মেরে ফেলতে পারে; লাল আগুন সবকিছুকে ধ্বংস করে ফেলতে পারে। এসব বিবেচনা করে লাল সম্পর্কে তাদের মধ্যে একটা সমীহ গড়ে ওঠে।
প্রাচীন মানুষরা এও দেখেছিল যে, নারীর ঋতুকাল সহবাসের পক্ষে অনুকূল নয়। আর রক্তের অনুষঙ্গে অবশ্যই লাল রংকেই মনে পড়েছিল তাদের। তাই লালকে একটা সীমানা চিহ্ন হিসেবে ব্যবহার করা শুরু হয় আদিকাল থেকেই। সেই সীমানা অতিক্রম করলে বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে, এমন এক বার্তা অঘোষিতভাবে বলা হয়ে থাকে। তাই ক্রমেই লাল হয়ে ওঠে বিপদের রং।
১৯৮৮ সালে আন্তর্জাতিক এইডস সোসাইটি গঠনের পর থেকেই ০১ ডিসেম্বরকে বিশ্ব এইডস দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে বিশ্বে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। দিবসটির মধ্যদিয়ে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এইডসের প্রতীক হিসেবে নির্ধারণ করা হয় ‘লালফিতা’ বা ‘রিবন’।
সেই থেকে লালফিতার মাধ্যমে এইচআইভি/এইডস আক্রান্তদের প্রতি সহমর্মিতা, সতর্কতা ও ভালোবাসাসহ প্রতিরোধের অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়। ১৯৯১ সাল থেকে এটি ব্যবহার হয়ে থাকে।